শেওড়াফুলির যৌনকর্মীদের পাশে মানবিক উদ‍্যোগ নিয়ে দাঁড়ালেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক

24th June 2020 4:24 pm হুগলী
শেওড়াফুলির যৌনকর্মীদের পাশে মানবিক উদ‍্যোগ নিয়ে দাঁড়ালেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) : লকডাউনে আসছে না খদ্দের। ঠিক মত দিতে পারছে না ঘরের ভাড়া, পাশাপাশি সংসার চালাতে সমস্যায় পরতে হচ্ছে শেওড়ফুলির যৌন কর্মীদের। তাদের সমস্যার কথা জানায় তাদের ই সংগঠন দূর্বার  সমিতির কাছে। সমিতির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে। সব কথা শোনেন ইনচার্জ শুভাশীষ  দাস। তাদের আশ্বস্ত করেন পাশে থাকার। বুধবার  শেওড়াফুলি যৌনপল্লীর  ৫০০ জন কর্মীর সাত দিনের খাওয়ার দায়িত্ব নিলেন  শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ  সুভাশীষ দাস।  ৫০০ যৌন কর্মীর হাতে তুলে দিলেন ভাত, ডাল,আলু পটলের তরকারি, ডিমের কালিয়া সহ প্যাকেট। এক যৌনকর্মী জানান লকডাউনে কোন খদ্দের আসতে চাইছে না। সারা দিন বসে গল্প করে দিন কাটছে । তাতে কি পেট শুনবে ?  তাই সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। বুধবার থেকে সাতদিন খাওয়ার চিন্তা করতে হবে না। ভাল লাগছে আমাদের পাশে রয়েছে প্রশাসন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সমিতি এবং বৈদ্যবাটী পৌরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম গুইন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।